উচ্চমাধ্যমিক একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনীর বাংলা প্রথম পত্রের গদ্যাংশের অন্তর্ভুক্ত একটি গল্পের নাম আমার পথ। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এই গল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছরই এইচএসসি পরিক্ষায় আমার পথ গল্প থেকে সৃজনশীল, ও এমসিকিউ প্রশ্ন আসে। আজকের আর্টিকেলে আমার পথ গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর শেয়ার করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।
আমার পথ গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর
যে-পথ আমার সত্যের বিরোধী, সে পথ ছাড়া আর কোনো পথই আমার বিপথ নয়।
লেখক সত্যের পূজারি, ন্যায় ও সুন্দরের অনুরাগী । অসত্য ও অন্যায়কে তিনি ঘৃণা করেন। কেননা সেটা বিপথ । তা মানুষকে বিভ্রান্তি ও বিপথে পরিচালিত করে পশুতে পরিণত করে ।
যার ভিতরে ভয়, সে-ই বাইরে ভয় পায়।
সাধারণত দুর্বল, ষড়যন্ত্রকারী, মিথ্যাবাদীরাই ভয় পায়। এসব তাদের বিবেককে অপরাধী করে তোলে। ফলে তাদের মনে সবসময় ভয় কাজ করে। তাই যার ভেতরে ভয় থাকে, সে-ই বাইরে ভয় পায়। লেখকের ভেতরে- বাইরে কোথাও কোনো ভয় নেই।
নিজকে চিনলে, নিজের সত্যকেই নিজের কর্ণধার মনে জানলে নিজের শক্তির ওপর অটুট বিশ্বাস আসে।
আত্মশক্তিতে বলীয়ান হতে হলে নিজেকে আবিষ্কার করতে হয়। সত্যকে কর্ণধার বলে মানতে হয়, নিজেকে, চিনে নিজের শক্তির ওপর অটুট বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়। আর তাহলেই স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুলে যায় ৷
পরাবলম্বনই আমাদের নিষ্ক্রিয় করে ফেললে।
একেই বলে সবচেয়ে বড় দাসত্ব, দাসত্বের মূল কারণই হলো পরাবলম্বন। পরের অধীনে থেকে, পরের ওপর নির্ভর করে, পরের গোলামি করে এ দেশের মানুষের মেরুদণ্ড বেঁকে গেছে। দাসত্বের ভারে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে আত্মনির্ভরতা-স্বাধীন সত্তা। একে আবার অর্জন করতে হবে। আত্মা মানে ‘নিজ সত্তা’। নিজের সত্তাকে ভালো করে চিনতে হয়, তাকে নির্মাণ করতে হয়। আত্মার সত্যের ওপরই আত্মনির্ভরতা পূর্ণতা পায় ।
আমি সে-দাসত্ব হতে সম্পূর্ণ মুক্ত।
প্রাবন্ধিক সব রকম প্রভাব, প্ররোচনা, হুমকি থেকে মুক্ত। মিথ্যা, ভণ্ডামি, মেকির সঙ্গে বা দেশের শত্রুদের সঙ্গে তিনি আপস করবেন না। কারণ তিনি সত্যকে অস্বীকার করবেন না। কাজেই সব রকম দাসত্ব থেকে তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত থাকবেন ।
ভুলের মধ্য দিয়ে গিয়েই তবে সত্যকে পাওয়া যায়।
ভুল থেকেই শিক্ষা হয়, অভিজ্ঞতা হয়। জীবনের পদে পদে বাধা আসে, সে বাধা অতিক্রম করতে হয়। ভুল থেকে মানুষ নতুন অভিজ্ঞতা ও নতুন শিক্ষা অর্জন করে। বস্তুত . ভুল থেকেই আমরা সত্যকে উপলব্ধি করতে পারি।
মানুষ-ধর্মই সবচেয়ে বড় ধর্ম।
মানুষকে ভালোবাসা, মানুষের জন্য কাজ করা, মানুষ হিসেবে মানুষকে মর্যাদা দেওয়াই সবচেয়ে বড় ধর্ম। যার নিজের ধর্মে বিশ্বাস আছে, যে নিজ ধর্মের সত্যকে চিনেছে, সে কখনো অন্য ধর্মকে ঘৃণা করতে পারে না। সে সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে থেকে মানুষের কথাই বলে, মানুষের জন্যই কাজ করে ।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও
জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যকে নতুন করে আবিষ্কার করলেন। সত্য কঠিন, নির্মম। তারপরও তিনি সত্যের প্রতিই তাঁর সব ভালোবাসা নিবেদন করলেন । বললেন— সত্য যে কঠিন কঠিনেরে ভালোবাসিলাম সে কখনো করে না বঞ্ছনা ।
ক. কবি কাজী নজরুল ইসলাম কত বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন?
খ. কাজী নজরুল ইসলাম নিজেকে ‘অভিশাপ রথের সারথি’ কেন বলেছেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে তোমার পঠিত প্রবন্ধের কোনো মিল আছে কি? আলোচনা কর।
ঘ. “কবি নজরুল এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উভয়েই সত্যের প্রতি আত্মনিবেদন করলেও সত্যকে উপলব্ধির জায়গায় যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান।”— এ সম্পর্কে তোমার সুচিন্তিত মতামত দাও ।
প্রশ্নের উত্তর
ক. জ্ঞান
কবি কাজী নজরুল ইসলাম মাত্র তেতাল্লিশ বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন ।
খ. অনুধাবন
সমাজের অনিয়ম ভেঙে ফেলতে প্রাবন্ধিকের যে অবস্থান তার প্রেক্ষিতে কবি নিজেকে অভিশাপ রথের সারথি’ বলে অভিহিত করেছেন । সমাজের প্রচলিত, পুরনো নিয়ম ভেঙে নতুনকে প্রতিষ্ঠা করা সহজ কাজ নয়। এতে প্রতিনিয়ত সমাজরক্ষকদের অত্যাচার- নির্যাতনের শিকার হতে হয়। নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়, অভিশাপ পেতে হয় । এসব জেনেও প্রাবন্ধিক তাঁর বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। সব অন্যায়, অবিচার আর অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি অভিশাপ হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন এবং নিজেই রথচালকের আসনে বসে ‘অভিশাপ রথের সারথি’ হয়েছেন ।
গ. প্রয়োগ
সারকথা : সমাজের অন্যায়, অবিচার আর অনিয়মের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান বোঝাতে কবি নিজেকে ‘অভিশাপ রথের সারথি’ বলে অভিহিত করেছেন ।
সত্যের শক্তিতে বিশ্বাস ও সত্যকে ভালোবাসার বিষয়ে উদ্দীপকের সাথে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের মিল আছে। সত্যকে যে অন্তরে ধারণ করে সে কখনো বিচ্যুত হয় না, সত্যই তাকে পথ দেখায়। অন্যদিকে মিথ্যা মানুষকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয় । তাই সত্যের সাধনাই প্রকৃত জীবনসাধনা, সত্য পথের পথিকই প্রকৃত মানুষ ।
‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক তাঁর অন্তরের এই সত্যকেই উন্মোচিত করেছেন । তিনি বিশ্বাস করেন যে, সত্যের দম্ভ যার মধ্যে আছে কেবল সে-ই অসাধ্য সাধন করতে পারে। সত্যের তেজেই ধ্বংস হয় সকল অজ্ঞতা, অবিদ্যা আর অমঙ্গল । উদ্দীপকের কবিও সত্য পথের সন্ধানী। তিনি সত্যকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন, দেখেছেন সত্য কঠিন ও নির্মম। তারপরও তিনি সত্যের শক্তিকে বিশ্বাস করে সত্যকে ভালোবাসেন । কারণ সত্য কখনো কাউকে বঞ্চিত করে না ।
সারকথা : সত্য মানুষকে দাসত্ব ও পরাধীনতা থেকে মুক্তি দেয়। সত্যের শক্তি দিয়েই মানুষ নিজেকে জানে। তাই উভয় জায়গায় সত্যকে আপন করে নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ. উচ্চতর দক্ষতা
“কবি নজরুল এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উভয়েই সত্যের প্রতি আত্মনিবেদন করলেও সত্যকে উপলব্ধির জায়গায় যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান।”— এ মন্তব্যের সাথে আমি একমত ।
সত্যকে জেনেই মানুষ মিথ্যাকে চিনতে শেখে। কারণ সত্যকে না জানলে মিথ্যার স্বরূপ বোঝা যায় না। যে ব্যক্তি নিজের অন্তরের এই সত্যকে জেনেছে সে কোনো অপশক্তিকে আর ভয় করে না । সত্যের তেজই তার পাথেয়, সত্যই তার জীবন পথের অবলম্বন । ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক তাঁর আত্মসত্তার স্বরূপ উন্মোচিত করেছেন এবং দেখিয়েছেন তাঁর অন্তরের সত্যের অপরিসীম শক্তি। সত্যের শক্তিতে তিনি নিজেকে চিনেছেন, ফলে বাইরের কোনো ভয়ে তিনি ভীত নন । তিনি বলেছেন, সত্য পথের পথিক হয়েই তিনি পৌঁছাতে চান অভীষ্ট লক্ষ্যে। অন্যদিকে উদ্দীপকের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নতুন করে সত্যকে আবিষ্কার করেছেন । তিনি দেখেছেন সত্য যদি নির্মমও হয় তবুও তা মিথ্যার চেয়ে ভালো। কারণ সত্যকে আঁকড়ে ধরলে কেউ ঠকে না। সত্য কখনো কাউকে বঞ্চিত করে না ।
কাজী নজরুল ইসলাম এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উভয়ই সত্যকে ভালোবেসেছেন। আপন অন্তর দিয়ে সত্যের শক্তিকে উপলব্ধি করেছেন। তবে উভয়ের উপলব্ধি ভিন্ন। একজন উপলব্ধি করেছেন সত্যের শক্তি, অপরজন সত্যের কঠিন রূপ। এ কারণে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যের সাথে আমি একমত।
সারকথা : উদ্দীপকের কবি এবং আলোচ্য প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক উভয়েই সত্যের শক্তি ও রূপ উপলব্ধি করেছেন। তবে দুজনের চিন্তা-চেতনার পার্থক্য রয়েছে।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও
শামসুল হক একজন জনদরদি নেতা। তিনি সব সময় স্পষ্ট কথা বলেন । জনগণের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন কাজ কাউকে করতে দেখলে প্রতিবাদ করেন। জনগণের বিশ্বাস, তিনি একজন দেশপ্রেমিক নেতা। জনগণ তাকে তাদের প্রতিনিধি করেছে। কোনো রকম মিথ্যাচারকে তিনি প্রশ্রয় দেন না। তার কাছে এলাকার সব মানুষ সমান ।
ক. কে মিথ্যাকে ভয় করে?
খ. প্রাবন্ধিক ভুল করতে রাজি আছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের শামসুল হকের মধ্যে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে?
ঘ. “আমার পথ’ প্রবন্ধে বর্ণিত দাম্ভিক ও আত্মবিশ্বাসী মানুষই যেন উদ্দীপকের জননেতা শামসুল হক।”— যথার্থতা বিচার কর ।
ক. জ্ঞান
যার অন্তরে মিথ্যা, সে-ই মিথ্যাকে ভয় করে ।
খ. অনুধাবন
প্রাবন্ধিক ভুল করতে রাজি আছেন, কারণ ভুলের মধ্য দিয়ে সঠিক বিষয়টি জানা যায় এবং অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়। ভুল স্বীকার করার মধ্য দিয়ে মানুষ শিখতে পারে। এই শেখার মাধ্যমে মানুষের জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয় । ভুল না করলে মানুষ কখনই সঠিক বিষয়টি শিখতে পারবে না। তবে ভুল করে যদি কেউ ভুলকেই সত্য বলে আঁকড়ে ধরে থাকে তবে তার দ্বারা সঠিক জ্ঞান অর্জন কখনই সম্ভব নয় । প্রাবন্ধিক ভুল করতে রাজি আছেন, কিন্তু ভণ্ডামি করতে রাজি নন ।
গ. প্রয়োগ
সারকথা : প্রাবন্ধিক ভুলের মধ্য দিয়ে সঠিক বিষয় জানতে চান বলেই ভুল করতে রাজি আছেন
উদ্দীপকের শামসুল হকের মধ্যে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে যে সত্য ও আদর্শের কথা বলা হয়েছে সে দিকটি প্রকাশিত হয়েছে। সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ মিলিয়ে মানুষের জীবন। জীবনচলার পথে মানুষ অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় । সেই প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে মানুষ তখনই বেরিয়ে আসতে পারে যখন তার মধ্যে সত্যতা ও নিষ্ঠা থাকে ।
উদ্দীপকের শামসুল হক একজন সত্যনিষ্ঠ, নির্ভীক ও আদর্শ নেতা। তার কাছে জনগণই প্রধান । তিনি মিথ্যাচারকে ঘৃণা করেন । তিনি নিজেকে জেনেছেন, চিনেছেন এবং জনগণের প্রতিনিধি মনে করেছেন । তার আদর্শ সত্য ও সুন্দর সমাজ গড়ার। ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম সমাজের অসত্য ও অনাচারের বিরুদ্ধে এমন এক ‘আমি’র প্রত্যাশাই করেছেন। তিনি যে দাম্ভিকতাকে স্বাগত জানিয়েছেন সেই দাম্ভিকতার প্রকাশও উদ্দীপকের শামসুল হকের মধ্যে রয়েছে। তাই বলা যায় যে, ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক যে সত্য ও আদর্শের কথা বলেছেন উদ্দীপকের শামসুল হকের মধ্যে তা প্রকাশিত হয়েছে।
সারকথা : একজন কর্ণধারকে যেমন হওয়া প্রয়োজন বলে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক মনে করেন উদ্দীপকের শামসুল হক তেমনই কর্ণধার
ঘ. উচ্চতর দক্ষতা
““আমার পথ’ প্রবন্ধে বর্ণিত দাম্ভিক ও আত্মবিশ্বাসী মানুষই যেন উদ্দীপকের জননেতা শামসুল হক।”— মন্তব্যটি যথার্থ ।
কঠিন হলেও একমাত্র সত্য পথই সহজ ও সুন্দর। সত্য মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলে। মানুষের আমিত্বের বিকাশ ঘটায়। যার অন্তরে সততা থাকে সে স্বাধীনভাবে চলতে পারে ।
‘আমার পথ’ প্রবন্ধে সমাজ ও সমকাল পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে প্রাবন্ধিক দেখিয়েছেন যে সুস্পষ্টভাবে নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রকাশ করতে জানলে তার মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা তৈরি হয়। তিনি মানুষকে প্রয়োজনে দাম্ভিক ও অহংকারী হতে বলেছেন । কারণ তিনি মনে করেন, যার মধ্যে দম্ভ আছে তার পক্ষে সব অসাধ্য সাধন করা সম্ভব।
সে তার আমিত্বের প্রকাশ ঘটাতে পারে। উদ্দীপকের শামসুল হক তেমনই সত্যনিষ্ঠ ও দাম্ভিক একজন নেতা। তিনি নিজেকে জনগণের নেতা মনে করেন। জনগণ তাকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে। তার কাছে সব মানুষ সমান। তিনি কোনো মিথ্যাচার ও কপটতাকে প্রশ্রয় দেন না । ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক যেমন মানুষের প্রত্যাশা করেছেন উদ্দীপকের শামসুল হক ঠিক তেমনই। তিনি দাম্ভিক ও আত্মবিশ্বাসী। তিনি সাহসী ও নির্ভীক। তার মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত রয়েছে। তাই বলা যায়, আলোচ্য মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : দাম্ভিক ও আত্মবিশ্বাসী মানুষই প্রকৃত মানুষ, কারণ তারা অন্যায়ের সামনে মাথা নত করে না । উদ্দীপকের শামসুল হকের মধ্যে এই গুণের সমাবেশই ঘটেছে।
আশাকরি আমার পথ গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আরো পড়ুনঃ আহ্বান গল্পের প্রশ্নের উত্তর