প্রিয় শিক্ষার্থীরা, কেমন আছো? আশা করি সকলেই ভালো আছো। আজকে তোমাদের রাসায়নিক বন্ধন অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে আলোচনা করবো। তো চলো শুরু করা যাক।
রাসায়নিক বন্ধন হলো এক প্রকার- আকর্ষণ বল ।
যে আকর্ষণ বলের মাধ্যমে একটি পরমাণু অন্য পরমাণুর সাথে যুক্ত হয় তা হলো- রাসায়নিক বন্ধন।
বিভিন্ন মৌল ইলেকট্রন আদান-প্রদান অথবা শেয়ারের মাধ্যমে গঠন করে- রাসায়নিক বন্ধন ।
নিকটস্থ নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করতে চায়— সকল পরমাণু ।
রাসায়নিক বন্ধন গঠনের মূল কারণ— স্থিতিশীলতা অর্জন ।
বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণ করে মৌলের- যোজ্যতা ইলেকট্রন ।
অণু গঠনকালে স্থিতিশীলতা অর্জনে H-পরমাণু ইলেকট্রন— শেয়ার করে।
Li-নিকটস্থ নিষ্ক্রিয় চরিত্র অর্জনে ত্যাগ করে- 1টি ইলেকট্রন।
O, F পরমাণু যোজ্যতা স্তরে অষ্টক ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করতে- ইলেকট্রন গ্রহণ করে।
F-পরমাণু Ne এর ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করতে ইলেকট্রন গ্রহণ করবে— 1টি ।
স্বাভাবিক অবস্থায় পরমাণুর ইলেকট্রন ও প্রোটন সংখ্যা— সমান থাকে ।
পরমাণুর বহিঃস্তরে ইলেকট্রন অপসারিত হলে সৃষ্টি হয়— ক্যাটায়ন ।
ধনাত্মক চার্জযুক্ত পরমাণুই— ক্যাটায়ন ।
ধাতুগুলোর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা 1, 2 বা 3 হলে তারা গঠন করে— ক্যাটায়ন ।
পরমাণুর বহিঃস্থস্তরে ইলেকট্রন গৃহীত হলে সৃষ্টি হয়— অ্যানায়ন। ঋণাত্মক চার্জযুক্ত পরমাণুই— অ্যানায়ন।
অধাতুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে 5, 6 বা 7টি ইলেকট্রন থাকলে তারা গঠন করে— অ্যানায়ন ।
ক্যাটায়ন গঠন করলে পরমাণুর আকার কমে ।
অ্যানায়ন গঠন করলে পরমাণুর আকার— বাড়ে ।
ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন গঠন করে যথাক্রমে— ধাতু ও অধাতু ।
1 থেকে 20 পারমাণবিক সংখ্যা বিশিষ্ট মৌলসমূহ বন্ধন গঠন করে— দুই ও অষ্টক নীতি ।
ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে গঠিত হয়- আয়নিক বন্ধন ।
ধাতু ও অধাতু পরমাণুর সংযোগে গঠিত হয়— আয়নিক যৌগ ।
ক্যাটায়ন এবং অ্যানায়নের মধ্যবর্তী আকর্ষণ বলই গঠন করে- আয়নিক বন্ধন ।
আয়নিক বন্ধন গঠিত হয় না- যোজ্যতা স্তরে তিন এর বেশি ইলেকট্রন থাকলে ।
লিথিয়াম পরমাণু আয়নিক বন্ধন গঠনে ইলেকট্রন— ত্যাগ করবে।
Al পরমাণু নিষ্ক্রিয় চরিত্র অর্জন করতে ত্যাগ করবে— ৩টি ইলেকট্রন।
ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়ন গঠন করে— হাইড্রোজেন পরমাণু ।
গ্রুপ 1 ও 17 এর মৌল দ্বারা গঠিত যৌগ— আয়নিক।
সবচেয়ে শক্তিশালী হলো— আয়নিক বন্ধন ।
প্রতীক ও অণুতে মোট পরমাণু সংখ্যা দ্বারা প্রকাশিত হয়—আণবিক সংকেত বা রাসায়নিক সংকেত।
আণবিক সংকেত প্রকাশ করতে প্রয়োজন- পরমাণুর প্রতীক ও সংখ্যা। ৩. আণবিক সংকেত দ্বারা জানা যায়— অণুতে মোট পরমাণুর সংখ্যা।
একটি অণুতে মৌলের পরমাণুর সজ্জা প্রতীক ও বন্ধনের মাধ্যমে প্রকাশ করাকেই বলা হয়- গাঠনিক সংকেত।
গাঠনিক সংকেত লিখতে হলে জানতে হবে- আণবিক সংকেত। ৬. গাঠনিক সংকেতে নির্দেশিত প্রতিটি রেখা নির্দেশ করে- সমযোজী বন্ধন ।
হাইড্রোকার্বনের গাঠনিক সংকেতে শিকল গঠন করে— কার্বন পরমাণু। ৮. H2O2 এর গাঠনিক সংকেত – H-O-O-H |
CH2 এর গাঠনিক সংকেত – H-C=C-H
C,H, এর গাঠনিক সংকেত – H-C-C-C-H
স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য যেকোনো মৌলই লাভ করতে চায়- নিষ্ক্রিয় গ্যাসের কাঠামো পরমাণুসমূহ শেষ শক্তিস্তরে স্থায়ী কাঠামো লাভ করে – ইলেকট্রন আদান-প্রদান বা শেয়ারের মাধ্যমে ।
যোজ্যতা স্তরে ৮টি ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করাকে বলে— অষ্টক নিয়ম । অষ্টক সম্প্রসারণ ঘটে— PCI, যৌগে ।
অষ্টক সংকোচন ঘটে— BF3 যৌগে ।
অষ্টক নিয়মের কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে উপস্থাপিত হয়েছে— “দুই” এর নিয়ম ।
অষ্টক নিয়ম থেকে অধিকতর উপযোগী এবং আধুনিক—“দুই” এর নিয়ম ।
অণু গঠনে কোনো পরমাণুর সবশেষ শক্তিস্তরে এক বা একাধিক জোড়া ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকবে একে বলে— ‘দুই এর নিয়ম’।
শুধু দুইয়ের নিয়ম অনুসরন করে – H, Li, Be, B.
দুই ও অষ্টক নিয়ম মেনে চলে পর্যায়সারণির — 1-20 পর্যন্ত মৌল ।
ধাতব মৌলের ক্ষেত্রে সর্বশেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন সংখ্যাই হলো তার— যোজনী ।
মৌলের সর্বশেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন সংখ্যাই হলো- যোজ্যতা ইলেকট্রন ।
একটি পরমাণু অন্য একটি মৌলের পরমাণুর সাথে সংযুক্ত হওয়ার ক্ষমতা বা সামর্থ্য হলো- যোজ্যতা।
উচ্চ পারমাণবিক সংখ্যা বিশিষ্ট ধাতব মৌল প্রদর্শন করে পরিবর্তনশীল যোজনী।
পর্যায় সারণির নিষ্ক্রিয় মৌলসমূহের যোজনী- শূন্য।
অধাতব মৌলের সর্বশেষ কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা নির্দেশ করে- মৌলের যোজ্যতা ।
আয়রনের মিশ্রঅক্সাইডে আয়রনের যোজনী – 2 33।
কোনো মৌলের একাধিক যোজনী থাকলে সর্বোচ্চ যোজনী ও সক্রিয় যোজনীর পার্থক্য হলো- সুপ্ত যোজনী ।
শূন্য হতে পারে- সুপ্ত যোজনী ।
‘আস’ ও ‘ইক’ দ্বারা বোঝায়— ছোট ও বড় যোজনী।
একাধিক মৌলের একাধিক পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত একটি পরমাণুগুচ্ছকে বলে— যৌগমূলক।
যৌগমূলক আচরণ করে— একটি আধানের ন্যায় ।
যৌগ মূলকসমূহ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পরমাণুর ন্যায়— অপরিবর্তিত থাকে।
যৌগমূলকসমূহের আধানই হচ্ছে— যৌগমূলকের যোজ্যতা। ৫. ফসফোনিয়ামের যোজনী- 1
ফসফেট যৌগমূলকের যোজনী- 3।
ধনাত্মক একযোজী যৌগমূলক – NH4′, PH4+
ঋণাত্মক একযোজী যৌগমূলক – NO3, OH, NO2, HSO4-1 ৯. ঋণাত্মক দ্বিযোজী যৌগমূলক – SO2, CO3 2, Cr2O7 2-1 ১০. ঋণাত্মক ত্রিযোজী যৌগমূলক – PO
অণুতে পরমাণুর প্রতীক ও সংখ্যা দ্বারা প্রকাশিত হয় — সংকেত।
সংকেতের মাধ্যমে যৌগের অণুতে প্রকাশ পায় পরমাণু বা আয়ন সংখ্যার অনুপাত ।
যদি A মৌলের যোজনী x ও B মৌলের যোজনী y হয় তবে সংকেত হবে- AyBx 1 যদি A মৌলের যোজনী 1 ও B মৌলের যোজনী y হয় তবে সংকেত হবে— AyB |
কোন যৌগমূলক একাধিক সংখ্যায় থাকলে যৌগমূলকটিকে— ব্র্যাকেটে রেখে সংখ্যা লিখতে হবে।
যদি A মৌলের যোজনী x ও B মৌলের যোজনী y হয় এবং x = y হলে সংকেত হবে— ABI
যদি দুটি মৌলের যোজনী কোন সাধারণ সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য হয় তবে যোজনীগুলোকে সাধারণ সংখ্যা দিয়ে ভাগ দিতে হবে।
সালফারের সঠিক সংকেত – So ।
ফসফরাসের সংকেত হবে – P4।
হাইড্রোজয়িক এসিডের সংকেত— NH |
পরমাণুর শেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন সংখ্যাই হলো— যোজ্যতা ইলেকট্রন ।
গ্রুপ-1 বা ক্ষার ধাতু সমূহের যোজ্যতা ইলেকট্রন— 1টি।
2 টি যোজ্যতা ইলেকট্রন থাকে— গ্রুপ-2 বা মৃৎক্ষার মৌলসমূহের । H ব্যাতীত সব মৌলের ১ম কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা- ২টি।
গ্রুপ-13, 14, 15 মৌলসমূহের যোজ্যতা ইলেকট্রন যথাক্রমে— 3, 4, 5 টি।
চ্যালকোজেন মৌলসমূহের যোজ্যতা ইলেকট্রন— চটি ।
7 টি যোজ্যতা ইলেকট্রন থাকে- হ্যালোজেনসমূহের।
নিষ্ক্রিয় মৌলসমূহের যোজ্যতা ইলেকট্রন- ৪টি। একমাত্র 2টি যোজ্যতা ইলেকট্রন ধারী নিষ্ক্রিয় মৌল- হিলিয়াম (He)।
আয়নিক যৌগ জলীয় দ্রবণে — বিদ্যুৎ পরিবাহী।
সমযোজী যৌগ- বিদ্যুৎ অপরিবাহী
সমযোজী যৌগ জলীয় দ্রবণে তৈরি করে না- বিচ্ছিন্ন আয়ন।
গ্লুকোজ (C6H12O6) হলো- সমযোজী যৌগ ।
আয়নিক যৌগের উদাহরণ- NaCl, KCI, CaCl ইত্যাদি HCI হলো- পোলার সমযোজী যৌগ।
সোডিয়াম সালফাইড যৌগে বিদ্যমান- আয়নিক বন্ধন ।
ধাতব পরমাণুসমূহ পরস্পরের সাথে আবদ্ধ থাকে— ধাতব বন্ধন দ্বারা।
ধাতু ও অধাতুর মধ্যে গঠিত হয়— আয়নিক বন্ধন ।
যেসব যৌগে হাইড্রোজেন ঋণাত্মক আয়ন হিসেবে থাকে তাদেরকে বলা হয়- হাইড্রাইড যৌগ।
আয়নিক যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হওয়ার কারণ— এদের পোলারিটি ।
রাসায়নিক বন্ধনে আবদ্ধ পরমাণুসমূহ থাকে— স্থিতিশীল অবস্থায়। অণুতে পরমাণুসমূহ যুক্ত থাকে— আকর্ষণ শক্তির সাহায্যে ।
মৌল বা যৌগের অণুতে উপস্থিত পরমাণুসমূহের মধ্যে বিদ্যমান আকর্ষণকে বলা হয়- রাসায়নিক বন্ধন ।
নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের পরমাণুর ইলেকট্রনীয় কাঠামো অর্জনের মাধ্যমে গঠিত হয়- রাসায়নিক বন্ধন ।
গ্যাসীয় অবস্থায় ১ মোল পরমাণুতে ১ মোল ইলেকট্রন যোগ করলে যে শক্তি নির্গত হয় তা হলো— ইলেকট্রন আসক্তি।
সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ পরমাণুগুলোর বন্ধন ইলেকট্রন নিজের দিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা হলো— তড়িৎ ঋণাত্মকতা ।
সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ অণুসমূহ পরস্পরের সাথে যে দুর্বল বন্ধনে আবদ্ধ থাকে তা হলো- ভ্যানডার ওয়ালস বল ।
সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?
উত্তর: অধাতব পরমাণুসমূহের সংযোগের সময় সংশ্লিষ্ট পরমাণুসমূহের সর্বশেষ শক্তিস্তরে স্থায়ী ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে যে বন্ধন গঠিত হয়, তাকে সমযোজী বন্ধন বলে ।
প্রশ্ন-২২. সমযোজী অণু কাকে বলা হয়?
উত্তর: সমযোজী বন্ধনবিশিষ্ট মৌলিক পদার্থের অণুকে সমযোজী অণু বলে। যেমন- N2, O2, Cl2 প্রভৃতি ।
প্রশ্ন-২৩. পানির অণুতে কয় জোড়া মুক্ত জোড় ইলেকট্রন আছে?
উত্তর : পানির অণুতে দুই জোড়া মুক্তজোড় ইলেকট্রন আছে ।
প্রশ্ন-২৪. ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে গঠিত হয় কোন ধরনের বন্ধন?
উত্তর : ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে গঠিত হয় সমযোজী বন্ধন।
প্রশ্ন-২৫. অধাতব পরমাণু নিজেদের মধ্যে কোন ধরনের বন্ধন গঠন করে?
উত্তর : অধাতব পরমাণু নিজেদের মধ্যে সমযোজী বন্ধন গঠন করে।
প্রশ্ন-২৬. অ্যামোনিয়াতে নাইট্রোজেন কয়টি ইলেকট্রন শেয়ার করে?
উত্তর : অ্যামোনিয়াতে নাইট্রোজেন তিনটি ইলেকট্রন শেয়ার করে। প্রশ্ন-২৭. CH, অণুতে মৌলগুলো কোন বন্ধনে আবদ্ধ থাকে? উত্তর : CH, অণুতে মৌলগুলো সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ থাকে ।
প্রশ্ন: সমযোজী যৌগের অণুগুলো নিজেদের মধ্যে কোন শক্তি দ্বারা আবদ্ধ থাকে?
উত্তর : সমযোজী যৌগের অণুগুলো নিজেদের মধ্যে দুর্বল ভ্যান-ডার ওয়ালস শক্তি দ্বারা আবদ্ধ থাকে।
প্রশ্ন-২৯. মিথেন অণুতে হাইড্রোজেন কয় জোড়া ইলেকট্রন দ্বারা আবদ্ধ থাকে ?
উত্তর : মিথেন অণুতে হাইড্রোজেন চার জোড়া ইলেকট্রন দ্বারা আবদ্ধ থাকে।
প্রশ্ন-৩০. অধাতু কাকে বলে?
উত্তর : যেসব মৌল পরমাণুর ইলেকট্রন গ্রহণ করে অষ্টক পূরণ করে তাকে অধাতু বলে।
ধাতব কেলাসের অভ্যন্তরে স্বাধীনভাবে চলাচল করে- ইলেকট্রন ।
ধাতব পারমাণুসমূহের মধ্যবর্তী আকর্ষণ বল- ধাতব বন্ধন । ধাতব বন্ধন সৃষ্টির মূল কারণ— সঞ্চরনশীল ইলেকট্রন ।
ধাতুর বন্ধনের পারমাণবিক শাঁসই— ধনাত্মক আয়ন ।
ধাতুর ঘাতসহ, বিদ্যুৎ ও তাপ পরিবাহিতার কারণ— সঞ্চরণশীল ইলেকট্রন।
মুক্ত ইলেকট্রনগুলো ঋণাত্মক প্রান্ত থেকে ধনাত্মক প্রান্তের দিকে চলার ফলে সৃষ্টি হয়— বিদ্যুৎ।
সকল ধাতুই বিদ্যুৎ পরিবাহী।
সকল ধাতু তাপ সুপরিবাহী।
কাচের টুকরা, রাবার দণ্ড বিদ্যুৎ অপরিবাহী।
যে অধাতুটি বিদ্যুৎ পরিবহন করে– গ্রাফাইট ।
প্রশ্ন-১. যোজ্যতা ইলেকট্রন কী?
উত্তর: কোনো মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের সর্বশেষ কক্ষপথের ইলেকট্রনকে যোজনী বা যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে ।
প্রশ্ন-২. যোজ্যতা কী?
উত্তর : কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ কক্ষপথে যত সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে অথবা যত সংখ্যক বিজোড় ইলেকট্রন থাকে তাকে মৌলের যোজনী বা যোজ্যতা বলে ।
প্রশ্ন-৩. সুপ্ত যোজনী কী?
উত্তর: কোনো মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী ও কোনো যৌগে ঐ মৌলের সক্রিয় যোজনীর মধ্যে পার্থক্যকে সেই যৌগে সেই মৌলের সুপ্ত যোজনী বলে।
প্রশ্ন-৪. পরিবর্তনশীল যোজনী কাকে বলে?
উত্তর: কোনো মৌলের একাধিক যোজনী থাকলে সেই মৌলের যোজনীকে পরিবর্তনশীল যোজনী বলে ।
প্রশ্ন-৫. যৌগ মূলক কাকে বলে?
উত্তর: একাধিক মৌলের কতিপয় পরমাণু বা আয়ন পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে ধনাত্মক বা ঋণাত্মক আধান বিশিষ্ট একটি পরমাণুগুচ্ছ তৈরি করে যা একটি মৌলের আয়নের ন্যায় আচরণ করে তাকে যৌগমূলক বলে ।
প্রশ্ন-৬. গাঠনিক সংকেত কাকে বলে?
উত্তর: যে সংকেতের সাহায্যে কোনো অণু বা আয়নে এর পরমাণুসমূহের বিন্যাস দেখানো হয় তাকে গাঠনিক সংকেত বলে ।